Latest Posts

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্য

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্যঃ লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ইন্টারনেটের অবদানে পৃথিবী...

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা !

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা  লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  'ইভ্যালি' – বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই কমার্স গুলোর শেয়ার...

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয় লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড হয়তো আমরা সবাই চিনি। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে...

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ।

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ। আধুনিক যুগ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তি যেন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে । তাই বর্তমান...

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ 

মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড হয়তো আমরা সবাই চিনি। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে যেসব ফ্রিল্যান্সার কাজ করে থাকেন, তাদের পেমেন্টের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। শুধু ফ্রিল্যান্সিং কেন, বিদেশে ঘুরতে গেলেও সেখানকার পেমেন্ট পরিশোধে মাস্টার কার্ড অনেক কাজে দেয়। আবার ঘরে বসে আলী এক্সপ্রেস অথবা অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনতে মাস্টার কার্ডের কোন বিকল্প নেই। 

সুতরাং বুঝতেই পারছেন মাস্টার কার্ড কতটা প্রয়োজন একটি জিনিস। তবে বাংলাদেশ থেকে মাস্টারকার্ড পাওয়া অনেক কঠিন। একারনে অনেকেই মাস্টার কার্ড করতে গিয়েও পিছিয়ে আসেন। আজকের এই পোস্টে ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড কিভাবে করবেন, মাস্টার কার্ড কি ও কত ধরনের হয় সেগুলো নিয়ে আমরা জানার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক!

মাস্টার কার্ড কি

মাস্টারকার্ড হতে হচ্ছে আর্থিক লেনদেন তথা মুদ্রা বিনিময় করার একটা আন্তর্জাতিক কার্ড। ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে আপনি যে কোনো দেশে গিয়ে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। এটি দেখতে বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো থেকে পাওয়া এটিএম কার্ড এর মতই। তবে দুই ধরনের কার্ডের ব্যবহার ও কার্যপদ্ধতিতে একটু ভিন্নতা রয়েছে। একটু ব্যাখ্যা করে বলি–

আপনি যদি আমেরিকাতে গিয়ে সেখানকার কোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে চান, তাহলে সাধারন এটিএম কার্ড দিয়ে সেটি সম্ভব নয়৷ তবে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড থাকলে  আপনি সহজেই আমেরিকার এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এটার পিছনে কিছু সহজ কারন রয়েছে৷ 

অন্য দেশের ব্যাংকগুলোর সাথে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর লেনদেনের কোনো  চুক্তি নেই বিধায় সেখানকার ব্যাংক থেকে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। আবার আপনি বাংলাদেশে টাকা জমা করলেও সেখানকার এটিএম বুথ থেকে ডলার নিতে হবে৷ এই ধরনের সমস্যা রোধ করতে মাস্টার কার্ড একটি যুগান্তকারী ধারণা।

ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করলে আপনি বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই এটিএম বুথ থেকে ডলার উত্তোলন করতে পারবেন। কারন এদের সাথে বিশ্বের প্রায় সকল দেশের ব্যাংকেরই আর্থিক লেনদেনের চুক্তি রয়েছে৷ 

মাস্টার কার্ড ব্যবহারের সুবিধা কি

মাস্টার কার্ড কি সেটি আমরা হয়তো এতক্ষনে জেনে গিয়েছি৷ এখন মাস্টার কার্ড ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি কি সেটি নিয়ে সংক্ষেপে একটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করলে আপনি যে কোন দেশে গিয়ে সেখানকার কারেন্সি উত্তোলন করতে পারবেন। চাইলে ডলারেও টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া ডলার ভাঙ্গানোর এটি সম্পূর্ন বৈধ একটি পদ্ধতি। সুতরাং ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের স্বার্থকতা এখানেই। 

অপরদিকে যারা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করেন অর্থাৎ ফ্রিলান্সারদেরও কাজের পেমেন্ট পেতে অনেক বেশি সমস্যা হয়। বিদেশি কোনো বায়ারের সাথে প্রজেক্ট করার পর, পেমেন্ট রিসিভ করার সময় তারা “টাকা” পরিশোধ করেনা। বরং তারা পেমেন্ট পরিশোধ করে “ডলার” এর মাধ্যমে। এক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ডলার পরিশোধ করলে সেটি বাংলাদেশিদের জন্য ডলারকে টাকায় কনভার্ট করে দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড কত প্রকারের হয়

ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড এর সেবার পদ্ধতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মাস্টার কার্ড রয়েছে। কিছু কিছু কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া যায়। অর্থাৎ কার্ড থেকে টাকা তুলে মাস শেষে পরিশোধ করা যায়। আবার কিছু কিছু মাস্টার কার্ডে অগ্রীম টাকা তুলে রাখতে হয়। এরপর সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে হয়। মাস্টারকার্ডের প্রকারভেদ নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত জানব৷ 

প্রিপেইড মাস্টারকার্ড 

প্রিপেইড মাস্টার কার্ডগুলো সাধারণত প্রাইমারি কার্ড হিসেবে বিবেচিত। প্রিপেইড মাস্টার কার্ডে প্রথমে টাকা ডিপোজিট করে রাখতে হয়। এই কার্ডে টাকা ডিপোজিট করা না থাকলে কার্ডটি কোনো কাজে আসে না। সহজ ভাষায়, এ ধরনের মাস্টার কার্ডগুলো সাধারণত বাংলাদেশের প্রিপেইড সিমকার্ডের মতো৷ আগে টাকা তুলে রাখতে হয়। তারপর কথা বলার সুযোগ দেয়। প্রিপেইড মাস্টার কার্ডে আপনি সকল লেনদেন করতে পারবেন।

ক্রেডিট মাস্টার কার্ড

ক্রেডিট মাস্টার কার্ডগুলো হলো মাস্টার কার্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ সুবিধাসম্পন্ন। এই ধরনের কার্ডে আগে থেকে যথেষ্ট অর্থ ডিপোজিট করে না থাকলেও আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন। কারন ক্রেডিট মাস্টার ব্যবহার করলে আপনি কার্ড দিয়ে আপনি যেকোন পরিমান অর্থ লোন নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু  শর্ত রয়েছে৷ আপনার লেনদেন যদি কম থাকে তাহলে আপনি কম লোন পাবেন। আবার আপনার লেনদেনের পরিমাণ বেশি হলে আপনি লোনও বেশি তুলতে পারবেন৷

ডেবিট মাস্টারকার্ড 

ডেবিট মাস্টার কার্ড গুলোকে সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড মাস্টার কার্ডই বলা হয়। ডেবিট মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে আপনি কেনাকাটায় কিছু টাকা অগ্রীম নিতে পারবেন। তবে ক্রেডিট মাস্টার কার্ড দিয়ে যেমন যত খুশি তত লোন নেওয়া যায় বা বিল পরিশোধ করা যায়; ডেবিট কার্ড দিয়ে সেটি সম্ভব নয়। সহজ ভাষায়, ডেবিট মাস্টার কার্ডকে পোস্টপেইড সিমকার্ডে সাথে তুলনা করা যায়। এখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে অগ্রীম খরচ করতে পারবেন। মেয়াদ শেষ হলে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। 

এগুলো ছাড়াও বর্তমানে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ও কিছু ব্যাংক মাস্টার কার্ড রয়েছে। এগুলো নিয়েও আমরা পরবর্তীতে জানব।

বাংলাদেশে কোন মাস্টার কার্ড প্রচলিত

বাংলাদেশে মাস্টার কার্ডের ব্যবহার বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই মাস্টার কার্ডের সেবাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ধরনের মাস্টার কার্ড সুবিধা চালু আছে। এগুলো হলো–

  • সরাসরি ব্যাংকের মাস্টার কার্ড
  • ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড।

ফিচার ও সুবিধার দিক থেকে ব্যাংক মাস্টার কার্ড এবং ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডগুলোর মধ্যে তেমন পার্থক্য না থাকলেও মাস্টার কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যাংকের মাস্টার কার্ড পাওয়া অনেক বেশি কঠিন। তবে ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড পাওয়া এক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে সহজ। 

এই লেখাটিতে আমরা দুই ধরনের আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করবো। শুরুতে রয়েছে ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়৷ 

বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে মাস্টারকার্ড পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড এর ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছেন। একারনে বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড প্রদান করছে৷ আমাদের সবগুলো ব্যাংকের কার্যক্রম প্রায় একই ধরনের হওয়ায় মাস্টার কার্ড পেতেও প্রায় একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। 

মাস্টার কার্ড পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত

বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড পেতে চাইলে ব্যাংক গুলোর কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়৷ এ শর্তগুলোর মধ্যে প্রধান ৩ টি শর্ত নিয়ে আলোচনা করা হলো–

  1. যে ব্যাংক থেকে আপনি মাস্টার কার্ড নিতে চান সে ব্যাংকের সাথে প্রতি মাসে লেনদেনের পরিমাণ কম-বেশি ৫০ হাজার টাকার আশেপাশে হতে হবে। তবে ব্যাংক ভেদে লেনদেনের টাকার পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। 
  2. যে ব্যাংক থেকে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পেতে চান, সেখানে আপনার একাউন্টের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস বা তারও বেশি হতে হবে। তবে ব্যাংক ভেদে এটি কম বেশি হতে পারে। 
  3. আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত অর্থের পরিমান অনেক বেশি হতে হবে। ব্যাংক ভেদে এক্ষেত্রে টাকার অংকে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে৷ তবে সব ক্ষেত্রেই ডিপোজিটেড মানির পরিমাণ অনেক বেশি হতে হবে। 

উল্লেখিত ৩টি শর্ত পূরণ কর‍তে পারলে আপনি ব্যাংকের যে শাখায় একাউন্ট খুলেছেন, সে শাখায় গিয়ে মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।  

ব্যাংক মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদনের পদ্ধতি

প্রাথমিক শর্ত গুলো পূরন করা পর ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় টাকার পাশাপাশি আর কোন কোন কারেন্সি ব্যবহার করবেন সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে। তাছাড়া ন্যাশনাল আইডি কার্ডসহ আরো যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো জমা দিতে হবে। সফলভাবে আবেদন গ্রহণ করা হলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি ব্যাংক থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড পেয়ে যাবেন। 

ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড তোলার পদ্ধতি দেখে সবাই হয়তো বুঝে গেছেন যে, ফ্রিল্যান্সারদের পক্ষে মাস্টার কার্ড পাওয়া অনেক বেশি কঠিন। তাই ব্যাংক থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড উত্তোলনের পরিবর্তে অনেকেই এর বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে থাকেন। ব্যাংকের মাস্টার কার্ডের পরিবর্তে অনলাইনে খুব সহজে মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়। এটিকে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বা মাস্টার কার্ড অনলাইন বলা হয়ে থাকে। তাই, এখন আমরা ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। 

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে মাস্টার কার্ড পাওয়া অনেক বেশি সহজ। আপনি ঘরে বসেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড অর্ডার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক মাস্টার কার্ডের মতো কোন জটিল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবেনা। 

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের আবেদন করার পর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই মাস্টার কার্ডের ভার্চুয়াল কোড নাম্বার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করলে মাস্টার কার্ডের হার্ডকপি বা প্লাস্টিক কপি পাওয়া যায়। এই ভার্চুয়াল কোড নাম্বার দিয়েই আপনি যেকোন জায়গা থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। তাই ভার্চুয়াল কোড পাওয়া কত সহজ বুঝতেই পারছেন।

কোন কোন কোম্পানি থেকে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়

বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বা অনলাইন মাস্টার কার্ডের সুবিধা দেয় এরকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ এই কোম্পানি গুলোর মধ্যে রয়েছে–

  • পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড
  • নেটেলার মাস্টার কার্ড
  • স্ক্রিল মাস্টার কার্ড
  • কিউকার্ড মাস্টার কার্ড

বাংলাদেশের এসব মাস্টার কার্ডগুলোর মধ্যে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাছাড়া অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে পেপাল সেবার পর পাওনিয়ার এর সেবাকেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভাবা হয়। অন্যান্য মাস্টার কার্ডগুলোর সুবিধাও অনেক৷ তবে বাংলাদেশে এসব ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের প্লাস্টিক কপি এভেইলেবল নয়। একারনে এগুলো খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি।

সুতরাং, বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড হচ্ছে পাওনিয়ার মাস্টার কার্ড। এই পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড কিভাবে বাংলাদেশ থেকে উত্তোলন করা যাত সেটি নিয়ে এখন আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। 

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পেতে করণীয়

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের আবেদন করা অনেক বেশি সহজ৷ তবে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের আবেদন করার কিছু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে৷ লেখাটির এই অংশে অনলাইন থেকে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো–

ধাপ ০১: স্থানীয় ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলুন

পাওইনিয়ার মাস্টার কার্ডের আবেদন করার ক্ষেত্রে সবার আগে একটি ব্যাংক একাউন্টের নাম্বারের প্রয়োজন হবে। তাই স্থানীয় যেকোনো ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলে রাখুন এবং হিসাব নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন। 

ধাপ ০২: একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন

ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে অন্যান্য আরো কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। এগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো–

  1. পেওনিয়ারে একাউন্ট খুলতে আপনার নিজস্ব একটি ই-মেইল আইডি এবং মোবাইল নাম্বারের প্রয়োজন পড়বে। যে ইমেইল আইডিটি ব্যবহার করবেন সেটিতে লগইন করে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
  2. পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট; এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির কপি প্রয়োজন হবে। সুতরাং যেকোন একটি ডকুমেন্টের ফটো মোবাইল দিয়ে তুলে বা স্ক্যান করে কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে রাখতে হবে। 

ধাপ ০৩: অনলাইনে পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে সাইনআপ করুন

 

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে পেওনিয়ারের ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরী করতে হবে।  একাউন্ট তৈরীর ধাপগুলো হলো-

 

  • একাউন্ট তৈরীর করার জন্য পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ওয়েবসাইটের ঠিকানাটি হলো- www.payoneer.com 
  • ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে Registration নামক একটি অপশন দেখা যাবে৷ এখানে প্রবেশ করে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে একাউন্ট তৈরী করুন।
  • একাউন্ট তৈরী করা হয়ে গেলে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য পেওনিয়ার আপনার ইমেইল এড্রেসে একটি মেইল পাঠাবে৷ মেইলের ইনবক্সে গিয়ে তাদের পাঠানো মেইলের লিংকে ক্লিক করুন। আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট সাইনআপ সম্পন্ন হলো।

 

 একাউন্ট তৈরী করা হয়ে গেলে আপনি যেকোন সময় পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করতে পারবেন৷

ধাপ ০৪: ডলার ডিপোজিট করুন

 

পেওনিয়ারের একাউন্ট এক্টিভ করতে হলে আপনার মিনিমাম ১০০ ডলার ডিপোজিট করতে হবে। কিছুদিন আগেও কোনো ডলার ডিপোজিট করা ছাড়াই পাইওনিয়ার ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে এই সুবিধাটি আর নেই। 

 

আপনি দুই ভাবে পেওনিয়ার একাউন্টে ডলার ডিপোজিট করতে পারবেন৷ প্রথমত, যদি আপনি কোনো ফ্রিল্যান্সার হোন, তাহলে আপনার আয়কৃত টাকা সরাসরি আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে ডিপোজিট করে দিতে পারেন। আবার, ফ্রিল্যান্সিং না করলেও আপনি অন্য কোনো মাধ্যম থেকে পেওনিয়ার একাউন্টে ১০০ ডলার ডিপোজিট করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ব্যাংক থেকে সরাসরি পেওনিয়ার একাউন্টে ডলার ডিপোজিট করা যাবেনা। 

ধাপ ০৫: মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করুন

 

পেওনিয়ার একাউন্টে ১০০ ডলার ডিপোজিট করা হয়ে গেলে আপনি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন৷ যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে সেগুলো খুব সহজেই আপনি পূরন করতে পারবেন। তাই সাবধানে সবগুলো তথ্য পূরন করুন। মনে রাখবেন, আপনার বর্তমান ঠিকানা অবশ্যই যথাযথভাবে বসাতে হবে৷  না হলে কার্ড পেতে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে।

 

ধাপ ০৬: মাস্টার কার্ডটি সংগ্রহ করুন

আপনার ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন সঠিকভাবে সম্পন হলে আপনি একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড কোড পাবেন। প্লাস্টিকের মাস্টার কার্ড আপনার কাছে পৌছাতে কমপক্ষে দুই বা তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এই দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন পড়লে আপনি ভার্চুয়াল কোড ব্যবহার করতে পারবেন। আবেদন করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার নিকটস্ত পোস্ট অফিসে যোগাযোগ রাখবেন৷ এতে আপনি দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পেয়ে যাবেন।

শেষ কথা

 

বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে এই ছিল আমাদের আকজের আলোচনা। পোস্টটি শুরু থেকে পড়ে থাকলে মাস্টার কার্ড কি, ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড কিভাবে পাবেন সেগুলো আপনারা হয়তো জেনে গেছেন। আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করুন। আর পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Latest Posts

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্য

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্যঃ লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ইন্টারনেটের অবদানে পৃথিবী...

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা !

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা  লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  'ইভ্যালি' – বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই কমার্স গুলোর শেয়ার...

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয় লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড হয়তো আমরা সবাই চিনি। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে...

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ।

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ। আধুনিক যুগ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তি যেন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে । তাই বর্তমান...

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.