Latest Posts

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্য

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্যঃ লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ইন্টারনেটের অবদানে পৃথিবী...

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা !

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা  লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  'ইভ্যালি' – বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই কমার্স গুলোর শেয়ার...

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয় লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড হয়তো আমরা সবাই চিনি। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে...

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ।

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ। আধুনিক যুগ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তি যেন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে । তাই বর্তমান...

আর্টিকেল কি? আর্টিকেল লেখার ১৫ টি টিপস।

আর্টিকেল কি? আর্টিকেল লেখার ১৫ টি টিপস।

লেখা: সুমাইয়া ইসলাম

আর্টিকেল আসলে কি? একটা নির্দিষ্ট বিষয়/সাবজেক্ট নিয়ে কিছু খন্ডাংশ লেখে জন-মানুষের মাঝে উপস্থাপন করা যা হতে পারে মিনিমাম ৩০০ কিংবা ৪০০ শব্দের মধ্যে। অবশ্যই আপনাকে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে সে টপিকের উপর যা আপনি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে।

আর্টিকেল লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে গৎবাঁধা লিখলেই হবে না তার জন্য আপনাকে ফলো করতে হবে কিছু টিপস যা নিম্নে দেয়া হল-

১. রিসার্চ 

প্রথমেই আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে নিঃসন্দেহে ।আপনি যে টপিক নিয়ে লিখবেন সেটা সম্বন্ধে যদি না জানেন তাহলে কিভাবে লিখবেন এর জন্য প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে। একটা ভালো মানের ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখতে পাঠকের নজর কারতে হলে সেই টপিক সম্পর্কে আগা গোড়া সব জানতে হবে।

 

২. পাঠক

পাঠকের মন জয় করতে হলে নিজেকে আগে পাঠক হতে হবে। যে যত বেশি পড়বে তত ভালো আইডিয়া হবে , দক্ষতা বাড়বে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে তো সবকিছু আরো সহজ হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েব সাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার টপিক নিয়ে আর্টিকেল আপলোড করা হয় সেগুলো পড়তে হবে পাশাপাশি বই , নিউজ পড়ার চর্চা করতে হবে। এতে করে আপনার শুধু স্কিল বাড়বেনা ভোকাবুলারি এবং কিভাবে লিখলে সুন্দর হয় আকর্ষণীয় হয় বুঝতে পারবেন।

৩. ভাষা

 

আপনি যদি ভালো বাংলা/ ইংরেজি না জানেন তাহলে লিখবেন কি করে। তার জন্য আপনাকে এজ ইউজুয়াল আর্টিকেল পড়তে হবে ওয়েবসাইট থেকে।

 বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য বলবো আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে অন্য আর্টিকেল রাইটারদের লিখা। কে কিভাবে কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছে, কিভাবে প্রেজেন্ট করছে। আর গল্পের বই, নিউজ পড়বেন তাহলেই হবে।

ইংরেজি হল একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই এই ভাষার ডিমান্ড বেশি। ভালো ইংরেজি জানতে হলে, ভোকাবুলারি উন্নতি করতে হলে ইংরেজি মুভি , সিরিজ দেখতে হবে। পাশাপাশি পড়ার চর্চা তো রাখতে হবে মাস্ট। 

৪. আর্টিকেল লেখার ধরন

আর্টিকেল যতটা সম্ভব সিম্পল রাখার ট্রাই করবেন। যার আর্টিকেল যত সিম্পল হবে পাঠকের জন্য ততই সহজলভ্য হবে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেসব শব্দ ব্যবহার করে থাকি মূলত সেগুলো দিয়েই আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে করে পাঠকের কোন বোঝার সমস্যা না হয়। লেখার ধরন হতে হবে সিম্পল কমপ্লেক্স সেন্টেন্স যত পারবেন এভোয়েড করবেন।

৫. কিভাবে লিখবেন?

 

আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে লিখতে বসবেন অবশ্যই সেটা সম্বন্ধ রিসার্চ করবেন। তারপর একটি সামনে নোটপ্যাড নিয়ে বসবেন। সেখানে আপনি ওই টপিকের পয়েন্ট গুলো লিখে ফেলবেন,‌ তারপর সেগুলো সিলেক্ট করবেন যেটা আপনার কাছে বেটার লাগবে কোনটি বিস্তারিত আলোচনা করবেন কোনটি নয়। 

 

এই পদ্ধতি ফলো করলে ভালো মানের ইনফর্মেটিভ আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এটা সেরা আর্টিকেল লেখার একটি জরুরী টিপস ।এভাবে করে নিজের ব্রেইন স্টর্মিং করতে হবে।

 

৬.সময়

লেখার জন্য নিরব জায়গা বেছে নিন আশেপাশে যাতে কোন হৈ-হুল্লোড় শব্দ না থাকে তার জন্য বেছে নিন এমন সময় যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে যেমন গভীর রাত কিংবা সকাল। গবেষণায় দেখা গেছে প্রফেশনাল রাইটাররা লেখালেখির জন্য নিরব সময় বেছে নেয়, হয়তো ভোর সকাল নয়তো গভীর রাতে আর্টিকেল লিখতে বসেন। আরো ভালো হয় যদি চা কিংবা কফি নিয়ে লিখতে বসেন। ব্রেইন এবং মাইন্ড দুটোই ফ্রেশ হয়। 

৭. Judge for yourself

আর্টিকেল লিখার জন্য নিজেকে শ্রোতা হিসেবে ভাবতে হবে। তারপর চিন্তা করে দেখুন আপনি কি জানতে চাচ্ছেন, কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে চান, বিষয় গুলো ইনফরমেটিভ হচ্ছে নাকি অপ্রাসংগিক।

আপনি কি নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারছেন নাকি না? এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

৮. সূচনা /Introduction 

প্রত্যেকটি আর্টিকেল শুরু হয় introduction দিয়ে । এটি খুবই জরুরি একটি স্টেপ । শুরু টা সুন্দর সাবলীল না হলে, পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না। তাই একজন রাইটার এর ওপর নির্ভর করে সে কিভাবে প্রেজেন্ট করছে।

 আপনার আর্টিকেলের introduction ২০০-৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে হতে হবে। মনে রাখবেন পাঠকের পুরো আর্টিকেল পড়ার আগ্ৰহ নির্ভর করছে আপনার introduction এর ওপর।

৯.স্টোরি রাইটিং

আর্টিকেল আকর্ষণীয় করতে লেখার মাঝে মাঝে স্টোরি বললে পাঠক মজা পেয়ে আর্টিকেলটা পড়ে। নিজের ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা গল্প আকারে লিখলে পাঠকের ইম্প্রেশন ভালো হয়। তাই সম্ভব হলে আর্টিকেলে নিজের জীবনের কিছু গল্প লেখার ট্রাই করবেন।

১০.হেডিং

হেডিং অনেক ইম্পর্টেন্ট ।আর্টিকেলে যেখানে যেখানে হেডিং লাগে সাব হেডিং লাগে ব্যবহার করতে হবে। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে হেডিং ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করার ট্রাই করবেন, এতে আপনার আর্টিকেলের সুপাঠ্যতা বাড়বে। পাঠক সহজে আর্টিকেলটা পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

১১. যৌক্তিক কথা

যুক্তিসমর্থন কথা বলতে হবে। কেউ অপ্রাসংগিক কথাবার্তা পছন্দ করে না, বিরক্ত হয়। এতে আপনার সাইটের র‍্যাঙ্কিং খারাপ হয়। তাই আর্টিকেলে টপিক রিলেটেড কথাই লিখতে হবে, যেটার জন্য আপনার পাঠকরা‌ আর্টিকেলটা পড়তে আগ্ৰহ পাবে এবং যেটা তাদের কাজে লাগবে।

 আর্টিকেল আকর্ষণীয় করতে টপিক রিলেটেড ছবি যোগ করলে আর্টিকেল আরো মানসম্পন্ন হবে, ভালো রেটিং পাবেন। ছবি মানুষকে খুব সহজেই পয়েন্ট গুলো বুঝাতে সাহায্য করে।

১২.প্ল্যাগারিজম

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি কোনো ভাবেই কারো আর্টিকেল কপি পেস্ট করতে পারবেন না। আর্টিকেলটি অবশ্যই ১০০% ইউনিক হতে হবে,‌ নিজের মতো লিখবেন। প্ল্যাগারিজম চেকার টুল দিয়ে আপনার লেখা আর্টিকেলটা চেক করে নেবেন।

 আপনার আর্টিকেলে প্ল্যাগারিজম থাকলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ গ্ৰহন করবে না।প্ল্যাগারিজম থাকলে আপনার সাইটের ও ক্ষতি হবে । তাই একবার নয় বারবার চেক করবেন আর্টিকেলটি ক্লায়েন্টকে বা নিজের সাইটে পাবলিশ করার আগে ।অনেক সময় প্ল্যাগারিজম ধরা পড়েনা বিভিন্ন সেটিংসের সমস্যার জন্য। 

১৩. কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল

একটা আর্টিকেলের কোয়ালিটি সেটা বোঝার বিভিন্ন উপায় আছে। 

আপনি চাইলে আর্টিকেলটা লেখার পর নিজেই চেক করতে পারেন, সেখানে আপনি নিজেই নিজের বিচারক। 

কিন্তু আপনি যদি আপনার লিখার ওপর কনফিডেন্ট না হোন, আর্টিকেলের কোয়ালিটি বিচার করতে আর্টিকেল লিখে আপনার কয়েকজন বন্ধুকে পড়তে দিন। তারপর তারা যদি মনে করেন আর্টিকেলটা কোয়ালিটিফুল হয়েছে, সহজে পড়া যায়, বোঝা যায়, লেখার ধরন ঠিকঠাক, তাহলে আপনি সাকসেসফুল। 

১৪. রিফ্রেশ মাইন্ড

একবারে আর্টিকেল শেষ না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে ফ্রেশ মাইন্ড নিয়ে লিখতে বসবেন । নিজেকে রিফ্রেশ করতে এক কাপ চা খেয়ে ব্রেক নিয়ে আবার আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন।

১৫. রিভিশন

রিভিশন হচ্ছে মোস্ট ইম্পরট্যান্ট পার্ট।  আর্টিকেল লেখা শেষ করে তা বারবার ভালোভাবে রিভাইজ দিন। আর্টিকেলে যেনো কোন গ্রামারটিকেল মিস্টেক বা প্লেগারিজম না থাকে, এগুলো চেক করার জন্য বিভিন্ন চেকার টুল রয়েছে।

 

Latest Posts

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্য

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসঃ সিংগেল ভেন্ডর ও মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইটের পার্থক্যঃ লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ইন্টারনেটের অবদানে পৃথিবী...

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা !

ইভ্যালি : জন্ম, উত্থান ও বিজনেস মডেল পর্যালোচনা  লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  'ইভ্যালি' – বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই কমার্স গুলোর শেয়ার...

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয়

ঘরে বসে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায় ও করণীয় লেখকঃ নাজিম উদ্দিন শেখ  মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড হয়তো আমরা সবাই চিনি। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে...

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ।

শিশুদের জন্য সেরা ১০ টি অ্যাপ। আধুনিক যুগ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তি যেন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে । তাই বর্তমান...

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.